১৫ আগস্টের ইতিহাস ভারতবর্ষের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই দিনটি ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তবে এই তারিখটি বাংলাদেশের ইতিহাসেও গভীরভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের দিন।
আমি দু’দিকের প্রেক্ষাপট আলাদা করে ব্যাখ্যা করছি—
১. ভারতের প্রেক্ষাপট (১৯৪৭) – স্বাধীনতা দিবস
-
পটভূমি: দীর্ঘ ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন, অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী, আন্দোলন, ও আত্মত্যাগের ফলস্বরূপ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
-
মূল ঘটনা:
-
১৯৪৭ সালের ১৪-১৫ আগস্ট রাত ১২টায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ঐতিহাসিক “Tryst with Destiny” ভাষণ দেন।
-
ভারত বিভক্ত হয় দুটি রাষ্ট্রে — ভারত ও পাকিস্তান।
-
ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে এবং ভারতের মানুষ নিজস্ব শাসন ব্যবস্থার সূচনা করে।
-
-
গুরুত্ব: এই দিনটি ভারতের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক, সারা দেশে পতাকা উত্তোলন, প্যারেড, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
২. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট (১৯৭৫) – জাতীয় শোক দিবস
-
পটভূমি: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের পুনর্গঠন শুরু করেন।
-
মূল ঘটনা:
-
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
-
নিহতদের মধ্যে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁর তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, এবং আরও অনেক আত্মীয়।
-
শুধু দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে বেঁচে যান।
-
-
গুরুত্ব: বাংলাদেশে এই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। জাতি শোক প্রকাশ করে, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
📌 সারাংশ:
-
ভারতে ১৫ আগস্ট = স্বাধীনতার আনন্দ ও উৎসবের দিন।
-
বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট = গভীর শোক ও স্মরণের দিন।
0 Comments